September 8, 2024, 3:04 am
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের চিলমারীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও টানা বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬৯ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নি¤œাঞ্চল সমূহের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও তীব্র নদী ভাঙনের ফলে গত ৩দিনে ২শতাধিক পরিবার বাড়ী-ঘর হারিয়েছেন। ২ হাজার ৮শ হেক্টর জমির ধানসহ বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে পানি বন্ধি হয়ে পড়ছে ৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বানভাসী মানুষ গবাদি পশু নিয়ে রয়েছেন বিপাকে।
জানা গেছে, উপজেলার অষ্টমীরচর ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ, নয়ারহাট ইউনিয়নের প্রায় ৬হাজার মানুষ, রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের প্রায় ১২ হাজার মানুষ, রমনা ইউনিয়নের প্রায় ১২ হাজার মানুষ, থানাহাট ইউনিয়নের প্রায় ৯ হাজার মানুষ এবং চিলমারী ইউনিয়নের প্রায় ৬ হাজার মানুষসহ উপজেলায় প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও চরাঞ্চলসহ উপজেলার ৬ ইউনিয়নে পাট, আউশ ধান, বীজতলা, শাক-সব্জি ও মরিচসহ প্রায় ২ হাজার ৮শ ১৬ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার ৪১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানি বন্দি হয়ে পড়ায় পাঠ দান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।এছাড়াও তীব্র নদী ভাঙনের ফলে গত ৩ দিনে ২ শতাধিক পরিবার বাড়ী-ঘর হারিয়েছেন। বানভাসী মানুষ গবাদি পশু নিয়ে রয়েছেন বিপাকে।
রমনা মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা জানান, তার ইউনিয়নে প্রায় ১২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।তিনি ত্রাণ সহায়তা হিসাবে ২শ মানুষের জন্য ২ মে. টন চাল বরাদ্দ পেয়েছেন। যা নিয়ে তিনি বন্যা কবলিত এলাকায় যেতে পারছেন না।
পাউবো ব্রহ্মপুত্র চিলমারী পয়েন্টের গেজ রিডার জোবায়ের হোসেন জনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র নদে চিলমারী পয়েন্টে পানি ৪৩ সে. মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬৯ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার প্রণয় বিষাণ দাস জানান, চরাঞ্চলসহ উপজেলার ৬ উনিয়নে পাট, আউস ধান, বীজতলা, শাক-সব্জি ও মরিচসহ প্রায় ২ হাজার ৬শ ১৬ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিনহাজুল ইসলাম বলেন, বানভাসী মানুষের সাহায্যার্খে প্রাপ্ত সহায়তা পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে।