September 8, 2024, 3:54 am
গাইবা ন্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে ১৩১ মেট্রিক টন চাল, ৬৮ মেট্রিক টন গম ও ৩৪ হাজার ৯২৬টি বস্তার হদিস মিলছে না। গত ৩ জুনের তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এ ঘটনায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, এলএসডি) আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিককে অভিযুক্ত করে পলাশবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, সম্প্রতি খাদ্য বিভাগের মহাপরিচালক এক আদেশে ওসি এলএসডি আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিককে স্ট্যান্ড রিলিজ করে সিলেট বিভাগে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।
বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও তিনি দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিতে টালবাহানা শুরু করেন। এ ঘটনায় সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাকিব রেজওয়ানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির অন্য সদস্যরা ছিলেন সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু হেনা মোস্তফা কালাম, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা খাদ্র নিয়ন্ত্রক আব্দুস সোবহান ও গাইবান্ধার খাদ্য পরিদর্শক আল আউয়াল।
সূত্র আরো জানায়, তদন্ত কমিটি ১৪ দিন পর গত ৩ জুন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ওই গুদামে ১৩১ টন চাল, ৬৮ মেট্রিক টন গম এবং ৩৪ হাজার ৯২৬টি বস্তার হিসাব মিলছে না। এরপর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নির্দেশে পলাশবাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই পরিমাণ খাদ্যশস্য ও সামগ্রী আত্মসাৎ করা হয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মিজানুর রহমান বলেন, মহাপরিচালক প্রদত্ত পত্রে গত ১৯ মে তার কর্মস্থলে যোগদানের কথা।
বিধি অনুযায়ী ২০ তারিখের মধ্যেই তিনি তাৎক্ষণিক অবমুক্ত হবেন। দায়িত্বভার বুঝিয়ে না দেওয়ায় তদন্ত কমিটি সেখানে কাজ করেছে। তাদের রিপোর্টে এই গরমিল পাওয়া গেছে।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লাইসুর রহমান জানান, এই অভিযোগটি দুদকের তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হবে।