October 18, 2024, 5:59 am
মমিন রশীদ শাইন: এখন জ্যৈষ্ঠ মাস, জ্যৈষ্ঠ মাসকে মধুমাসও বলা হয়। বেশীরভাগ রসালো ফল এ মাসেই বাজারে আসতে শুরু করে। সুস্বাদু ফলের অধিক সরবরাহ থাকায় সবার কাছে মাসটি মধুমাস নামেই পরিচিত। বছরজুড়ে কমবেশি ফল পাওয়া গেলেও সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় এ সময়ে। এবারো বিভিন্ন রসালো ফলের সমাহার নিয়ে মধু মাসের আগমন।রসালো ফলে এখন ভরপুর বগুড়ার ফল বাজার।
আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, জামরুল, তরমুজ, আনারস ছাড়াও এ মাসে মিলবে লটকন, পেয়ারা, বাঙ্গিসহ রসালো সব ফল। লিচু, তরমুজ, বাঙ্গি এবং কিছু কাঁঠাল এরই মধ্যে বাজারে চলে এসেছে। আমের দেখাও মিলছে বাজারে।
ষড়ঋতুর বাংলাদেশে গ্রীষ্মের গরম হাওয়ায় মধুরসে ভরা বিভিন্ন জাতের ফলের মিষ্টি সৌরভ নিয়ে আগমন হয়েছে জ্যৈষ্ঠের। জ্যৈষ্ঠের দাবদাহে সারা দেশ মেতে উঠছে পাকা ফলের মিষ্টি রসে। মধু মাসের মিষ্টি ও সুস্বাদু ফল মিশে আছে আমাদের ঐতিহ্যের সাথে।
প্রতি বছরের মতো এবারও গ্রীষ্মকালীন মৌসুমী ফলে ছেয়ে গেছে বগুড়া শহরের বিভিন্ন ফলবাজার। শহর ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি বাজারেই গ্রীষ্মকালীন মৌসুমী ফলের সমারোহ। এসব ফলের মধ্যে রয়েছে লিচু, কাঁঠাল, আম, তালের শ্বাস, আনারস ইত্যাদি। এছাড়া মৌসুম শেষ হওয়ায় বিদায়ের পথে থাকা বেল, বাঙ্গি ও তরমুজের মতো ফলও দেখা যাচ্ছে বাজারগুলোতে। এসব ফলের গন্ধ সুবাস ছড়াচ্ছে প্রতিটি বাজারে। গ্রীষ্মকালীন মৌসুমী ফলের মধ্যে বর্তমানে বাজারে ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে লিচু। এছাড়া শহরের প্রায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লায়ও ভ্যানে করে মৌসুমী ফল বিক্রি হচ্ছে। বাজার থেকে কিছুটা কম দামেই ফল বিক্রি হচ্ছে ভ্যানের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে।
শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথা এলাকায় দেখা গেছে, বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করছেন ফল বিক্রিতে। তারা মূলদোকানের সামনের অংশে মৌসুমী ফল রেখে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন। এ বাজারে বেশি বিক্রি হচ্ছে লিচু। তবে লিচু পুরোদমে পরিপক্ক হলেও আম মাত্র আসতে শুরু করেছে বাজারে। ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ফল বাজারের বেশির ভাগ অংশ থাকবে মিষ্টি ও রসালো আমের দখলে।
শহরের থানা রোড, কাঠলতলা, স্টেশন রোড, ফতেহআলী ব্রিজ রোড এলাকায় বিক্রি হচ্ছে ফল।
বগুড়া শহর ফল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক তুষার জানান, বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে লিচু। প্রকার ভেদে প্রতি একশ লিচু বিক্রি হচ্ছে দেড়শ’ থেকে তিনশ টাকায়। চায়না ত্রি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। তিনি বলেন প্রতিদিন সকালে পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে লিচু। তিনি জানান তরমুজ বিক্রি হচ্ছে দেড়শ থেকে ২শ টাকা পিস । তবে একটু দাম কমেছে অশনি প্রভাবে বৃষ্টির কারণে। সাতক্ষিরার কিছু কিছু আম পাওয়া যাচ্ছে এখন। ১ সপ্তাহ পরে পুরোদমে সব ধরনের আম পাওয়া যাবে।
ফল ব্যবসায়ী শহিদুল বলেন, আমের বেচাকেনা এখনো জমে উঠেনি। তবে লিচুর এখন ভরপুর মৌসুম। তাই লিচুর ব্যবসা জমজমাট। ফতেহআলী ব্রিজর পশ্চিমপাশে এক ফল ক্রেতা বলেন ৩শ টাকা দিয়ে ১শ লিচু কিনেছি। তিনি বলেন ২শ ২০ টাকাতে বোম্বাই লিচু পাওয়া যাচ্ছে। ষ্টেশন রোডের সপ্তপদী এলাকার ফল বিক্রেতা আলমগীর জানান দেড়শ থেকে ৩শ টাকা পর্যন্ত প্রতি পিস তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। লিচুর বেচাকেনা ভাল চলছে। আমের বেচাকেনা জমে উঠবে আগামী সপ্তাহ থেকে।