October 18, 2024, 5:55 am
স্টাফ রিপোর্টার: নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং সিন্ডিকেটের মাধ্যমে যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সে লক্ষ্যে বগুড়া জেলা প্রশাসন আয়োজিত বিশেষ সভায় বক্তারা আলু, ডিম, সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখার জন্য তাগাদা দেন। বক্তারা সরকারের নির্ধারিত দামে কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলু বিক্রি নিয়েও বিষদ আলোচনা করা হয়।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। আজ বেলা ১১ টার পর থেকে টানা প্রায় ৩ ঘন্টার বিশেষ সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোতাহার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আল মারুফ, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর বগুড়ার উপ পরিচালক মতলুবর রহমান, টিএমএসএস এর নির্বাহী পরিচালক ও কোল্ড ষ্টোরেজ এসোসিয়েশন সভাপতি প্রফেসর. ড.হোসনে আরা বেগম, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা, ডা. মো. মোশারফ হোসেন, বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন, ব্যবসায়ী নেতা আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, এনামুল হক দুলাল, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক ইফতেখারুল আলম রেজভী, রাজাবাজার বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতা, আব্দুল হান্নান, পরিমল প্রসাদ রাজ, বিভিন্ন বাজার কমিটি, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনসহ ১২ উপজেলার নির্বাহি কর্মকর্তা, বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জ উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম, কোল্ডস্টোরেজ মালিকদের কাছে জানতে চান কার স্টোরেজে কত আলু রয়েছে এবং তারা সরকার নির্ধারিত দামে আলু সরবরাহ করছেন কি না।
এ সময় কোল্ড স্টোরেজ মালিক সমিতির নেতা আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ জানান, বগুড়ার ১৬ টি কোল্ড স্টোরেজ মালিক সরকার নির্ধারিত দামে আলু সরবরাহ করছেনা। অন্যদিকে ডিমের দাম নিয়ে একটি বড় প্রতিষ্ঠান কারসাজি করছে বলে অভিযোগ করা হয়।
সভায় উপস্থিত কাজী ফার্মস এর প্রতিনিধি জানান, বগুড়ায় প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লাখ ডিমের প্রয়োজন হলেও তারা ওই পরিমান ডিম দিতে পারছেন না। তারা বগুড়ায় সবোর্চ্চ ৩ লাখের বেশি ডিম দিতে পারে না। এবং সপ্তাহে কয়েত দিন এক থেকে দেড় লাখ ডিম দেন।এসময় বগুড়ার ডিমের ডিলারেরা কাজী ফার্মের বিরুদ্ধে ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং বাজারে দাম বৃদ্ধির সিন্ডিকেটের জন্য দায়ী হিসেবে অভিযুক্ত করেন।
সভায় রাজাবাজার বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতা আব্দুল হান্নান সহ অন্যান্যরা অভিযোগ করেন বৃহস্পতিবার তারা কোল্ড স্টোরেরজ থেকে ৩৯ টাকা কেজি দরে আলু কিনেছেন। অপর ব্যবসায়ী নেতা বলেন, পরিমল প্রসাদ রাজ বলেন, বর্তমানে ডলার সংকটের কারনে ব্যবসায়ীরা আমদানি করতে পারছেন না। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দ্রুুত ডলার ছাড় করার জন্য আহবান জানান। সভায় আলু ডিম ছাড়াও পেঁয়াজ, সবজি, চাল নিয়েও আলোচনা করা হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ব্যবসায়ীরা যদি সিন্ডিকেট করে তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বাজার মনিটরিং করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান। একই সাথে পোল্ট্রি খামারিদের সহযোগিতা করার জন্য জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার প্রতি আহবান জানান।