September 16, 2024, 7:03 pm

যোদ্ধাদের যে ‘ভয়ঙ্কর নির্দেশনা’ দিলো হামাস

যমুনা নিউজ বিডি: গত ১ সেপ্টেম্বর গাজার রাফাহ ক্রসিংয়ের একটি সুড়ঙ্গ থেকে ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করে ইসরায়েল। পরবর্তীতে ইসরায়েল জানায় এ ছয়জনকেই উদ্ধারের এক অথবা দুইদিন আগে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হামাসের মুখপাত্র আবু উবায়দা গত সোমবার সন্ধ্যায় এক অডিও বার্তায় জানান, হামাসের যোদ্ধাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে— যদি কোনো জিম্মির কাছে ইসরায়েলি সেনারা চলে আসে তাহলে তাকে যেন গুলি করে হত্যা করা হয়। গত জুনে গাজার নুসেইরাত ক্যাম্পে চার জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করেছিল দখলদার ইসরায়েল।

কিন্তু চারজনকে উদ্ধার করতে তারা হত্যা করেছিল ২৭৪ ফিলিস্তিনিকে। আর নুসেইরাতের এ ঘটনার পরই যোদ্ধাদের জিম্মিদের হত্যার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবু উবায়দা।  নুসেইরাত থেকে চারজনকে উদ্ধারের পর ফারহান আল কাদি নামের ৫২ বছর বয়সী এক জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করতে পেরেছেন ইসরায়েলি সেনারা। এর আগে যখন শত শত ফিলিস্তিনিকে হত্যার মাধ্যমে সেনারা জিম্মিদের উদ্ধার করছিল তখন সাধারণ ইসরায়েলিরা ভাবছিলেন যুদ্ধ চলার সঙ্গে সঙ্গে যেহেতু জিম্মিদেরও উদ্ধার করা যাচ্ছে তাহলে যুদ্ধ চলুক।

কিন্তু ১ সেপ্টেম্বর ছয়জনের মরদেহ উদ্ধারের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। হাজার হাজার ইসরায়েলি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাস্তায় নেমে আসেন। তারা প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে চাপ দিতে থাকেন। তবে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু চাপকে পাত্তা দেননি। তিনি পরেরদিন সন্ধ্যায় জানান গাজা-মিসর সীমান্তবর্তী ফিলাডেলফি করিডর থেকে সেনাদের প্রত্যাহার করবেন না।

হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে এখন যুদ্ধবিরতি হচ্ছে না মূলত ইসরায়েলি সেনাদের গাজা-মিসর সীমান্তে থাকার বিষয়টি নিয়ে। হামাস বলছে যুদ্ধবিরতি চাইলে দখলদারদের সব সেনাকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে। অপরদিকে নেতানিয়াহু বলছেন যদি তারা ফিলাডেলফি করিডর থেকে সেনা সরিয়ে নেন তাহলে হামাস সীমান্ত ব্যবহার করে আবারও অস্ত্র নিয়ে আসবে। হামাস নতুন যে কৌশল নিয়েছে এটি যুদ্ধে নতুন আরেকটি ধাপ তৈরি করেছে। সঙ্গে জটিল করেছে জিম্মি সমস্যাটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD