September 7, 2024, 11:26 pm

বেড়েছে চাল-পেঁয়াজ-আলুর দাম, সবজিতে কিছুটা স্বস্তি

যমুনা নিউজ বিডি: আন্দোলন ও কারফিউর কারণে গত সপ্তাহে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা বেশ ভেঙে পড়েছিল। এতে সবজি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যায়। তবে গত বুধবার থেকে কারফিউ পরিস্থিতি শিথিল ও যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে। তবে বেড়েছে চাল,পেঁয়াজ ও আলুর দাম।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায় সবজিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের সরবরাহ বেড়েছে। তবে আগের মতো চড়া দামেই ভোক্তাদের চাল, পেঁয়াজ ও আলু কিনতে হচ্ছে। প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। সরু চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩-৪ টাকা।

গাজর, বেগুন, টমেটো ও করলা ছাড়া এখন বেশির ভাগ সবজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে কিনতে পারছেন ক্রেতারা। গত সপ্তাহে প্রায় প্রত্যেকটি সবজির দাম ছিল ৭০ টাকার উপরে। প্রতিকেজি পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, প্রতিকেজি চিচিঙ্গা ও ঢেঁড়শ ৬০ টাকায়, প্রতিকেজি পেঁপে ৫০ টাকায়, চাল কুমড়া প্রতিপিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া প্রতিকেজি ৪০ টাকায়, শসা প্রতিকেজি ৮০ টাকায়, কচুমুখী প্রতিকেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, টমেটো প্রতিকেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, গাজর প্রতিকেজি ২০০-২৩০ টাকায়, লাউ প্রতিপিস সাইজভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি করলা প্রায় ৫০-৭০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়।

বাজারে প্রতিকেজি গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। প্রতিকেজি কাঁচামরিচ গত সপ্তাহে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাজারে আজ প্রতিকেজি কাঁচামরিচ মিলছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।

রাজধানীর কাঁচাবাজারের একজন সবজি বিক্রেতা বলেন, পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ রয়েছে। এ কারণে টমেটো আর গাজর ছাড়া সবধরনের সবজির দাম কমেছে। টমেটো আর গাজর আমদানি করে আনতে হচ্ছে।

এ ছাড়া দেশি রসুন প্রতিকেজি ২২০ টাকায়, আমদানিকৃত রসুন প্রতিকেজি ২০০ টাকায়, ছোট দানার মসুর ডাল প্রতিকেজি ১৪০ টাকায় এবং বড় দানার মসুর ডাল প্রতিকেজি ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

একজন ক্রেতা বলেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ও আন্দোলনের পর সবজির বাজারে উত্তাপ কিছুটা কমেছে। তবে এখনও আলু, পেয়াজ, মাংস ও মশলার দাম চড়া।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে সরবরাহ বাড়ায় কমেছে মুরগির দাম। প্রতিকেজি ২০ টাকা পর্যন্ত কমে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় এবং সোনালী মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আগের মতোই প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৭৮০ টাকায় আর প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১৫০ টাকায়। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে প্রতিকেজি ১ কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। প্রতিকেজি রুই মাছ ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙ্গাশ ২০০ টাকা করে। এছাড়া প্রতিকেজি তেলাপিয়া ২৬০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা, কৈ মাছ ২০০ থেকে ২৪০ টাকায়, চিংড়ি ৭০০ টাকায়, দেশি টেংরা মাছ ৮০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে চালের দাম বাড়ার বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশের অস্থির অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যে কারফিউ জারি হয়েছে, এতে বিভিন্ন অটোরাইস মিলের উৎপাদন বন্ধ ছিল। গাড়ি চলতো না। বাজার বিপণন ব্যবস্থায় এর প্রভাবে পড়ে। এতে বাজার একটু বেড়েছে। বুধবার রাত থেকে আবার সরবরাহ শুরু হয়েছে। প্রচুর পরিমাণে চাল ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ঢুকছে। আশা করি, বাজারে খুব শিগগির আগের রূপ ফিরে আসবে। এ মুহূর্তে আমাদের পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুত আছে। খাদ্যের কোন ঘাটতি নেই, ঘাটতি হবেও না। সহনশীল অবস্থা আগে যেমন ছিল তেমনই থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD